সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের সোনাপুরে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের রামুর যুবক মাইমুনুর রশিদ। দুবাই শহরের একটি বেসরকারি নির্মান কোম্পানির পিকআপ গাড়ির সহকারি হিসাবে কাজ করতেন ।

শুক্রবার (১১ আগষ্ট ) মাইমুনুর রশিদ রাতের ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন,পথিমধ্যে সোনাপুর এলাকায় আসলে তাদের গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি কাভার্ভ ভ্যান। এতে মাইমুন সহ দুইজন নিহত হন। তাদের পিকআপ চালকও গুরুতর আহত হন।

নিহত মাইমুনুর রশিদ কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ভুতপাড়া হাইটুপি এলাকার সফর আলী বাবুর্চির ছেলে। অন্যজন উখিয়া উপজেলার ইনানীর আকতার কামাল বলে জানা যায়। নিহত আকতার কামালের চারটি সন্তান রয়েছে।

নিহত মামুনুর রশিদের পিতা সফর আলী বাবুর্চি জানান, ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছেলে মাইমুনুর রশিদ। দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে এবং ছোট ভাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে দেড় বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে মাইমুনুর রশিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সেই থেকে পরিবারের অবস্থা ভালই চলছিল। কিন্তু আকষ্মিক এ দূর্ঘটনায় পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম।

মামুন রশিদের বোন জামাই মাদ্রাসা শিক্ষক মামুন জানান,একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্য দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে বিদেশে গিয়েছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিলো পরিবার নিয়ে। হঠাৎ তার এই মৃত্যু আমরা সহজে মেনে নিতে পারছি না।

এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুংখজনক এবং কষ্ট দায়ক,আমরা উপজেলা প্রশাসন রামুর পক্ষ থেকে তার মরদেহ দেশে আনার জন্য তার পরিবারকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।