প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ টেকসই কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে বসবাস এবং কাজের জন্য দুবাই বিশ্বের অন্যতম সেরা শহরে পরিণত হয়েছে। আমিরাতের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতিই এ কৌশলের মূল।

পরিবেশমূলক সম্পদ পরিচালনার জন্য পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পানি পুনরুদ্ধার কর্মসূচি এ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুবাইয়ে পানি পুনঃব্যবহারের হার ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে এবং বিশুদ্ধ ও ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২০৩০ সালের মধ্যে দুবাই পুনর্ব্যবহার্য পানির ব্যবহার ১০০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রাখে। দুবাই পৌরসভার পানি পুনর্ব্যবহারের কৌশল এবং আমিরাতের নেট জিরো-কার্বন কৌশলের উদ্দেশ্য একই।

জিরো কার্বন নির্গমন কৌশল ২০৫০ একদিকে যেমন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যাবশ্যক ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ রক্ষা করে তেমনি পানির পুনর্ব্যবহার করা জ্বালানি-বান্ধব ডিস্যালিনেশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেও যথেষ্ট পরিমাণে সংরক্ষণ করে, যার ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস পায়।

আগামী সাত বছরে দুবাই ৩০ শতাংশ ডিস্যালিনেটেড পানি এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির মহাপরিচালক দাউদ আল-হাজরি বলেন, ‘দুবাইয়ের নেতৃত্ব প্রাথমিক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, পানি সংরক্ষণ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।’

১৯৮০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, দুবাই সাড়ে ৪ বিলিয়ন ঘনমিটারেরও বেশি পানি পুনরুদ্ধার করেছে। বিশুদ্ধ এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করে পুনরুদ্ধার করা পানি ব্যবহারের ফলে প্রায় দুশ’ কোটি দিরহাম বার্ষিক সঞ্চয় হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দুবাই তার পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানির উৎপাদন দ্বিগুণ করে ৮০০ কোটি ঘনমিটারের বেশি করার লক্ষ্য রাখে।

পুনরুদ্ধারিত পানি গ্রিন এলাকার সেচ এবং ল্যান্ডস্কেপিং ছাড়াও আমিরাতে কেন্দ্রীয় শীতলকরণ থেকে অগ্নিনির্বাপণ পর্যন্ত একাধিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। পুনরুদ্ধারিত পানি শারীরিক চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলোতেও ব্যবহৃত হয় যেমন স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং পাম্পিং স্টেশনগুলোতে ওয়াশিং অপারেশনে।

এছাড়াও এটি পরিবেশ-বান্ধব বিকল্প হিসাবে অগ্নিনির্বাপক ক্রিয়াকলাপেও ব্যবহার করা হয়। সূত্র : গালফ নিউজ।