অবশেষে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছালো ফলের রাজা আম। এবারের মৌসুমে পাকিস্তানি আমের প্রথম চালান পৌঁছানোয় উচ্ছ্বসিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বাসিন্দারা। গত বছরের তুলনায় পাকিস্তানে এবার ফলন বেশি এবং পাকিস্তানি রুপির দরপতনের কারণে আমের দাম তুলনামূলক কম থাকবে বলে আশা করছে আমিরাতি কর্তৃপক্ষ। খবর খালিজ টাইমসের।

আলতাফ হোসেন ট্রেডিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আলতাফ বলেন, সমুদ্রপথে সিন্ধ্রি ও আলমাস জাতের আমের ৯০টিরও বেশি কন্টেইনারের প্রথম চালান এসেছে। আমগুলোর গুণগত মান খুবই ভালো, সম্পূর্ণ পাকা এবং সুগন্ধযুক্ত।

তিনি বলেন, এরপর দুসেহরি, সারোলি, আনোয়ার রাতুল, গুলাস খাস, ল্যাংড়াসহ অন্যান্য জাতের আমও সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হবে। প্রবল বৃষ্টিপাতে ব্যাঘাত না ঘটলে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমের সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

পাকিস্তান সুপার মার্কেট চেইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুলরাইজ ইয়াসিন বলেন, এরই মধ্যে আকাশপথে আমের চালান যাওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে সমুদ্রপথে যাওয়াও শুরু হবে।

তিনি জানান, আমিরাতি দিরহামের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দরপতনের কারণে আমের দাম হয় আগের বছরের মতো থাকবে অথবা কিছুটা কম হবে। গত বছরের মে মাসে দিরহামের বিপরীতে পাকিস্তানির রুপির মান ছিল ৫৪ দশমিক ৪। চলতি মাসে তা কমে ৮০ দশমিক ৪-এ দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান আম রপ্তানিকারক দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তানি আমের বড় বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, হংকং, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর এবং ইউরোপীয় দেশগুলো।

প্রতি বছর আমিরাতে আম রপ্তানি করে লাখ লাখ ডলার আয় করে থাকে পাকিস্তান। গুলরাজ জানান, আমিরাতে প্রথম চালানের আমে প্রতি বাক্সের দাম ধরা হয়েছে ৩০ দিরহামের (৮৭৫ টাকা প্রায়) সামান্য বেশি। একেকটি বক্সে সাধারণত ছয় কেজি করে আম থাকে।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে আমের সরবরাহ বাড়বে। তবে এর দাম নির্ভর করবে সরবরাহ ও চাহিদার ওপর। অতীতে ভালো সরবরাহের ক্ষেত্রে আমের দাম প্রতি বাক্সে ১৮ থেকে ২০ দিরহাম পর্যন্ত নেমে গেছে।