ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কাজ করবে ভারত। পাশাপাশি কাজ করা হবে স্মার্ট শহর তৈরিতে। ভারতের ন্যাশনাল ই-গভর্ন্যান্স ডিভিশনের (এনইজিডি) নির্বাহী প্রধান অভিষেক সিং সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, স্মার্ট শহর ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কাজ করবে ভারত। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

ডিজিটাল ইন্ডিয়া এক্সপেরিয়েন্স জোন প্রদর্শনীর এক পর্যায়ে অভিষেক সিং দাবি করেছেন, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। স্মার্ট শহর, ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘‌আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহী। দেশটি এর মধ্যে অনেক খাতে বিপুল সফলতা অর্জন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে, অনেক ভারতীয় শহর তাকে অভিযোজন করে নিতে পারে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্মার্ট শহরের পরিকল্পনা ভারত গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করেন অভিষেক সিং। দুই দেশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাত দেশের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ। সে হিসেবে খাতটি সম্ভাবনাময়। এর মধ্যে খাতটি বিপুল বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে, যা দ্রুতগতিতে সম্প্রসারণ হচ্ছে। তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান।

২০২৬ সালের মধ্যে ভারত ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি নিশ্চিত করতে চায়। দেশটির ইন্টারনেট পরিষেবা এর মধ্যেই ৩০ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। দেশটি ইলেকট্রনিকস শিল্পে বিপুলভাবে বিনিয়োগ করছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ভারত।

জীবনমান উন্নত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে ভারত অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিশেষ করে ১০ বছরে বিপুল পরিবর্তন আনা হয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি খাতে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ আইডেনটিটি ভ্যারিফিকেশন প্লাটফর্ম ‘‌আধার’ প্রতিষ্ঠা করেছে। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায়। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় দেশটিতে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেশি। উদ্যোক্তা শ্রেণীর উত্থানে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ আরো বেড়েছে।

সিং দাবি করেন, সর্বশেষ জি২০ সম্মেলনে প্রযুক্তিগত সমাধান ও উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। এক্ষেত্রে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে। যেকোনো দেশ তার নীতিমালায় যেন পরিবর্তন আনতে পারে। যেন স্থানীয় উদ্দেশ্য ও ব্যবহার সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।

সম্মেলনে প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ডিজিটাল অবকাঠামো ও মানবজাতির কল্যাণে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে। ভারতের ডিজিটাল অবকাঠামো এর মধ্যেই বিপুল বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। লাখো মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ডিজিটাল অর্থনীতির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ছড়িয়ে পড়ছে প্রভাব। অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে মাথায় রেখে ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তর আগামী দিনগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অভিষেক সিং।