আগামী ৮ এপ্রিল প্রায় ৫০ বছরের দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে আমেরিকাসহ তিন দেশ। এই সূর্যগ্রহণের কারণে সেদিন মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো। এমন অবস্থায় ৮ এপ্রিল বিশেষ ট্রাফিক সতর্কতা জারি করেছে আমেরিকা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ৮ এপ্রিল সামনে রেখে ট্রাফিক সতর্কতা জারি করেছে আমেরিকার ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। যেখানে বলা হয়েছে, ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণে বিমানপথে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ অনেক ফ্লাইট দেরি হবে। এ জন্য যাত্রীদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফএএ জানায়, শুধু অভ্যন্তরীণ অনেক ফ্লাইট দেরি হবে, এমন নয়। অনেক ফ্লাইট অন্য পথেও যেতে পারে। এতে লাগতে পারে সময়। ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণের সময় কোন কোন বিমানবন্দর এই সংকটে পড়বে, তার তালিকাও প্রকাশ করেছে এফএএ। একই শঙ্কায় ৮ এপ্রিল আমেরিকার শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে বিশেষ বলে বর্ণনা করেছেন। কেননা, ৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হচ্ছে। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। ২০৭৮ সালে হতে পারে আবারও।

তবে বিরল এই সূর্যগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, সূর্যগ্রহণের সময় সরাসরি সূর্যের দিকে তাকানোর ফলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য অনেক মানুষ রাস্তায় নামলে যানজট তৈরি হতে পারে। এতে স্থানীয় সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়তে পারে।

আমেরিকার টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এসব রাজ্যের স্কুল এরই মধ্যে বন্ধের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এশিয়া থেকে এ বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে ঘটনাটি কিছুটা হলেও উপভোগ করার ব্যবস্থা থাকবে।