লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন মহান আল্লাহতায়ালা। বলা হয়েছে, হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। আর সেই রাতেই আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদে নামাজ পড়তে হাজির হয়েছিলেন ৭০ হাজারের বেশি মুসল্লি।

বার্তা সংস্থা ওয়ামের খবর অনুসারে, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে (৬ এপ্রিল) আবুধাবির গ্রান্ড শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন রেকর্ড ৭০ হাজার ৬৮০ জন মুসল্লি। মসজিদটি চালু হওয়ার পর থেকে একসঙ্গে এত মুসলিমের আগমন এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি।

লাইলাতুল কদরে গোসল করা কি মুস্তাহাব?
একই রাতে আল আইন শহরের শেখ খলিফা গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ পড়েছেন ২৮ হাজার ৮৫০ জন মুসল্লি। তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ১১৬ জন তাহাজ্জুদের নামাজে অংশ নেন, বাকিরা এশা ও তারাবিহ নামাজ পড়েন।

স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এদিন মুসল্লিদের ভিড় সামলাতে ও যানজট কমাতে শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতর একটি অতিরিক্ত ১ হাজার ৮০০টি পার্কিং স্পেস বরাদ্দ করা হয়েছিল। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়েছিল ৭০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হুইলচেয়ার।

লাইলাতুল কদর কী?
লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন। নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটান তারা।

যদিও রমজানের কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়নি। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানের দিবসপূর্ব রাতগুলোর কোনো একটি রাত লাইলাতুল কদর।